ছাগলের ঘাড় বাঁকা রোগের লক্ষণ
ছাগলের ঘাড় বাঁকা রোগ (Goat Torticollis) সাধারণত নিউরোলজিক্যাল বা সংক্রামক কারণে হতে পারে। নিচে এর লক্ষণসমূহ দেওয়া হলো:
ছাগলের ঘাড় বাঁকা
ছাগলের ঘাড় বাঁকা রোগের লক্ষণসমূহ:
১. শারীরিক লক্ষণ:
- ঘাড় একদিকে বাঁকা হয়ে যায়
- মাথা উল্টো দিকে ঘুরিয়ে রাখা
- ভারসাম্যহীনভাবে চলাফেরা করা
- মাংসপেশির দুর্বলতা
- শরীরের অন্য অংশে ঝাঁকি বা খিঁচুনি দেখা দেওয়া
- দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে মাথা ঝুলিয়ে রাখা
- খাবার খাওয়ার সময় অস্বস্তি অনুভব করা
- চোয়াল শক্ত হয়ে যাওয়া বা সঠিকভাবে চিবুতে না পারা
- ওজন কমে যাওয়া
২. স্নায়বিক (নিউরোলজিক্যাল) লক্ষণ:
- চোখ ঘোরানো (Nystagmus)
- বারবার একই দিকে পড়ে যাওয়া
- দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া বা অন্ধত্ব
- কোনো শব্দ বা আলোতে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো
- চলাফেরায় অস্বাভাবিকতা
- মাথা ও শরীরের অনিয়ন্ত্রিত কাঁপুনি
- কোনো কিছুর ওপর ঠিকমতো দাঁড়াতে না পারা
- পা টেনে টেনে হাঁটা
৩. খাওয়া ও পরিপাক সংক্রান্ত লক্ষণ:
- খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া
- খাবার খেতে না পারা বা খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাওয়া
- ঘন ঘন পানি পান করা বা পানির প্রতি আগ্রহ হারানো
- মুখের ভেতরে লালা জমা হওয়া
- খাবার মুখ থেকে পড়ে যাওয়া
৪. আচরণগত পরিবর্তন:
- সাধারণের তুলনায় বেশি ভয় পাওয়া
- অন্য ছাগলদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা
- অস্থিরতা বা অস্বাভাবিক আচরণ
- মালিক বা পরিচিত জনের প্রতিক্রিয়া কম পাওয়া
- দীর্ঘ সময় শুয়ে থাকা
৫. সংক্রমণের লক্ষণ (যদি জীবাণুর সংক্রমণের কারণে হয়):
- শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া (জ্বর)
- কানে বা চোখে সংক্রমণের লক্ষণ (পুঁজ জমা হওয়া, লাল হয়ে যাওয়া)
- নাক দিয়ে শ্লেষ্মা পড়া
- শ্বাসকষ্ট বা দ্রুত শ্বাস নেওয়া
- শরীরে প্রদাহ বা ফুলে যাওয়া
এই রোগ সাধারণত লিস্টেরিওসিস (Listeriosis), ভিটামিন B1 (থায়ামিন) ঘাটতি, আঘাত বা অন্যান্য নিউরোলজিক্যাল সমস্যার কারণে হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে ছাগল মারাও যেতে পারে, তাই দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
Comments
Post a Comment